ভাবনায় আসুক ভারসাম্য
– মঙ্গল মন্ডল
মেয়েটির ইচ্ছাগুলো
কখনও কখনও একলা চলে আর হারিয়ে যায়,
সে চায় না সংসার আর,
ওখানে তার বন্দি দশার পরিহার।
নতুন ঘর নতুন করে আবার শুরু নতুন কথা বলা,
নতুন আচার বিচার, মানিয়ে নেওয়ার প্রথার পাহাড়;
তবে তাকে তো যেতেই হবে সমাজের ওটাই আধার।
তবে আমি যদি বলি ছেলেটির কথা,
যে কথাগুলো বলতে কেউ চায় না বোধহয়,
ছেলেদের তো প্রতিষ্ঠা করতেই হয়,
তাকে রোজগার করতে হয়
ঘরবাড়ি গাড়ি গড়তে হয়
ছেলেদের তো ওটা করতেই হয়।
চাকরি করার যুদ্ধ চলে
নাহলে ছেলেটাকে কেউ সমাজে ভালো চোখে দেখবে না;
বেকার বলে গলা ফাটাবে,
তার ভালোবাসার কোনো অধিকার হয়ে ওঠে না,
প্রতিষ্ঠা যদি না হয় সমাজ তাকে মেনে নেবে না।
আর যাদের নেই কিছু ,
কেউ কি এমন ভেবে তার হাত ধরতে পারবে, যে-
তার দু’ বাহুর মাঝে জড়িয়ে ধরে আকাশ পারি দেবে?
ছেলেটারও স্বপ্ন থাকে,
ইচ্ছা থাকে
কেউ তাকে বুঝতে চায় না,
শুধু বলে বসে, অনেক বয়স তো হল- এবার বিয়েটা কর!
কেউ বলে বসে, তোর দ্বারা কিছু হবে না;
তারা কি জানে তার মনের ঠিকানা!
অনেকে বলে, লোকের কথায় কি যায় আসে?
যদি বলি- আসে, ওই ছেলেটার কানে শোনার ক্ষমতা আছে,
কিন্তু তার মনের ব্যথার সীমা পেরিয়ে যায় প্রতিবার।
যদি পারো ছেলেটির মন আচার বিচার দেখে এসো,
ঘরবাড়ি গাড়ি তো সংসার সুখী করে না,
প্রতিষ্ঠা তো দুজনেই না হয় একসাথে করলে নিজেদের।
চিন্তা পাল্টালেই জীবন পাল্টাবে হয়তো,
তুমি আমি সবাই এক, তবে কেন এত যুক্তি দ্বন্দ্ব।
এটা জেনে রেখো সবে,
ছেলে যেমন তোমার কথা ভাবে
তুমিও মেয়ে হয়ে ছেলেটার কথা ভেবে দেখো,
দৃষ্টি কোণ যখন রাস্তা পাবে পৃথিবীতে আর এক জগত হবে।